করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতার মধ্যে সিলেটে টিকা প্রার্থীর সংখ্যা বাড়লেও টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ছে না আপাতত। সিলেপট সিটি কর্পোরেশনে ৯টি টিকাদানকেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সুমন।
জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট মহানগরীতে টিকাদানকেন্দ্র আছে দুটি। একটি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, অপরটি বিভাগীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে। এসব কেন্দ্রে ১০টি বুথের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন টিকা পেতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কেন্দ্রগুলোতে।
ফলে দুটি কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাপ্রদানে বেগ পোহাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ সারি। ফলে টিকাগ্রহীতারা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ। এছাড়া বিপুল সংখ্যক টিকাগ্রহীতা জড়ো হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হয়ে পড়ে।যার প্রেক্ষিতে ৯টি কেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিল সিসিক। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এসব কেন্দ্রের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সুমন।
তিনি বলেন, আপাতত এই ৯টি কেন্দ্র সম্ভবত হচ্ছে না। আমরা যদ্দুর জেনেছি, ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত টিকাদান শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদি তা বাস্তবায়ন করা হয়, তবে সিলেট নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকাকেন্দ্র হবে। ২৭টি ওয়ার্ডে ন্যুনতম একটি, কোনো কোনোটিতে একাধিক কেন্দ্র হতে পারে। সাথে ওসমানী হাসপাতাল, পুলিশ লাইন্স কেন্দ্রগুলোও চলমান থাকবে
নগরীতে যে ৯টি টিকাদানকেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠায় সিসিক সেগুলো হলো- নগর ভবন, মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল, ধোপাদিঘীর উত্তর পাড় বিনোদিনী নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাগবাড়ি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আখালিয়া বীরেশ চন্দ্র নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কাজীটুলা সূর্যের হাসি ক্লিনিক, টিলাগড় সূর্যের হাসি ক্লিনিক, শাহজালাল উপশহর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কদমতলী নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
।