সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকার মাঠে নাছুম বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। স্বাভাবিকভাবেই তার নাড়ি-নক্ষত্রের খোঁজ পড়ে সংবাদমাধ্যমে। তখনই জানা যায়, সুনামগঞ্জ লিগে তাকে আজীবন নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
ক্রিকেটার নাছুম আহমেদ সুনামগঞ্জে আজীবন নিষিদ্ধ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলাটে হওয়ায় সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এই স্পিনার বলেন, “সুনামগঞ্জের হয়ে আমি কখনোই খেলেননি। তাহলে সেখামে আমাকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয় কিভাবে?”
পোস্টে তিনি বলেন, আমার পূর্বপুরুষদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। কিন্তু কয়েক দশক ধরেই আমার পরিবার সিলেট জেলায় স্থায়ী।জন্ম, বেড়ে ওঠা, খেলাধুলায় হাতেখড়ি সব সিলেটে। এখানকার লিগে খেলেই তিনি দেখিয়েছেন প্রতিভার স্ফূরণ। এরপর সাফল্যের আকাশে ডানা মেলে পরেছেন লাল-সবুজের জার্সি।
নাছুমের পোস্টটি হুবুহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো…
“আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়ালেখা কিংবা ক্রিকেট খেলা, সবকিছুই সিলেটে। আমার বাবার জন্মও সিলেটে। একসময় আমার দাদাবাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় ছিল। কিন্তু আমার দাদা ১৯৫৮ সালে সিলেটে স্থায়ীভাবে চলে আসেন। ছোটবেলা সুনামগঞ্জে একবার গিয়েছিলাম এবং রাস্তাঘাটও ঠিক ভাবে চিনিনা ওখানকার। পরবর্তীতে ওখানকার একটা টুর্নামেন্টে একবার ‘খ্যাপ’ খেলতে গিয়েছিলাম।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদে হয়তো অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছেন আমি আমার জেলা দলে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমি যে জেলার হয়ে কখনো খেলিনি তারা আমাকে কিভাবে নিষিদ্ধ করে? ২০০৫ সালে ১১ বছর বয়সে আমি পেশাগতভাবে ক্রিকেট শুরু করি এবং ওই বছর জেলা ক্রিকেটে সুনামগঞ্জের কোন দলই ছিল না। তখন থেকে সবসময়ই সিলেটের হয়ে খেলেছি। সিলেট লীগে খেলেছি ২০০৬ সাল থেকে এবং সিলেট জেলা দলে খেলেছি ৩ বছর, আর বিভাগীয় দলে ২০১০ সাল থেকে।
আল্লাহ্ এর অশেষ রহমতে আমি বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যেতে সবার দু’য়া কামনা করি।”