অনলাইন ডেস্কসু:- প্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনায় মারামারির ঘটনায় তিন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেলকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারা হলেন-জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তার।অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ আর হট্টগোলের পর শনিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়।এরপর সমিতির মিলনায়তনে রাত সোয়া ১টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের।এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী শাহ মঞ্জুরুল হক। এক বছর মেয়াদী এই কমিটির ১৪টি পদের মধ্যে চারটিতে বিএনপি ও ১০টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের নব নির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ফল মেনে নিলেও ভোটে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান।অন্যদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনে ভোট দেন ৫ হাজার ৩১৯ জন আইনজীবী। কিন্তু ভোট গণনা দিনে হবে না রাতে এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল আর সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।এ সময় হারিয়ে যায় ব্যালট বাক্স। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা উদ্ধার হয়। এক পর্যায়ে গণনা ছাড়াই শুক্রবার সকালে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, নাহিদ সুলতানা যুথীকে সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তবে বহিরাগতদের চাপে তার নাম ঘোষণার কথা জানান নির্বাচনের সাব-কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের। এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘোষণাটি লিখতে বাধ্য করা হয়।ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আইনজীবীকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেফতার করা হয়।