২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

‘অভিনয় করার মতো গল্প-চরিত্র পাচ্ছি না’

priyosylhet24.com
প্রকাশিত ৩১ মার্চ, রবিবার, ২০২৪ ১৪:৫৩:৪৪
‘অভিনয় করার মতো গল্প-চরিত্র পাচ্ছি না’

মুখোমুখি
ছবি: অভিনেত্রী কুসুম শিকদার

বিনোদনডেস্কঃ-কুসুম শিকদার। গান দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হলেও পরবর্তীতে লাক্স সুন্দরীর মুকুট ও নিজের অভিনয় চর্চায় ক্যারিয়ারের নতুন টার্ন হয় তার। গৌতম ঘোষের নির্মাণে অভিনয় করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০২ সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন এ অভিনেত্রী। ‘বিয়ের আংটি’ নাটকের মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক ঘটে। তারপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় টেলিভিশন নাটক-টেলিফিল্ম উপহার দিয়েছেন। বর্তমান ব্যস্ততা ও নানা প্রসঙ্গে ডেইলি বাংলাদেশ-এর মুখোমুখি হন তিনি। আলাপচারিতায় ছিলেন এম আর রুবেল।নতুন কাজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে বলুন-কুসুম শিকদার: অনেকদিন ধরেই তো আমি অভিনয় থেকে দূরে ছিলাম, সেটা তো আপনারাও জানেন। আসল কথা হলো অভিনয় করার মতো গল্প-চরিত্র পাচ্ছিলাম না। যেমন নাটকে, তেমন চলচ্চিত্রেও। এখনতো আর নিজেকে পর্দায় দেখানোর দরকার নেই। সেই বয়সও আর নেই। এখন ভালো গল্প-চরিত্র ও নির্মাতা পেলেই অভিনয় করব। নতুন দু-একটা কাজ হাতে আছে এবং কিছু কাজের কথা চলছে।এখন যেসব নাটক হচ্ছে তাতে কি মনের মতো গল্প পাচ্ছেন না?কুসুম শিকদার: এমন কথা আমি বলতে চাই না। তবে খুব যে ভালো হচ্ছে এটিও কি বলা যাবে? এখন প্রায় নাটকের গল্পই কাছাকাছি ও গতানুগতিক। এখন ভালো নাটক না হওয়ায় কিন্তু আমার সমসাময়িক অনেক শিল্পী নিয়মিত কাজ করছেন না। এটা অস্বীকার করা যাবে না। যে বিষয়টি বলতে চাই, আমি নিজেকে উপস্থাপন করার মতো নতুন কিছু পাচ্ছি না।অনেক নারীই ক্যামেরার পেছনে কাজ করছে- বিষয়টি কীভাবে দেখেন?কুসুম শিকদার: আমিও ক্যামেরার পেছনে নিয়মিত হতে চাই। এমন একটা পরিকল্পনায় ছিলাম অনেকদিন থেকেই। এরই মধ্যে অনেকটা গোপনীয়তা বজায় রেখে একটা সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। ডাবিংও শেষ। আপনারা সবাই জানেন অভিনয়ের পাশাপাশি আমি লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। ‘অজাগতিক ছায়া’ নামে আমার একটি প্রকাশিত গল্পের বই আছে। তাতে ‘শরতের জবা’ নামে একটি গল্প আছে। একপর্যায়ে ওই গল্পটি অবলম্বনেই একই শিরোনামে সিনেমা বানাই। এটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনার পাশাপাশি প্রযোজনাও করছি। ইচ্ছে আছে আগামী বছরের শুরুতে মুক্তি দেওয়ার।দীর্ঘদিন পর সিনেমায় ফিরে কেমন লাগছে?কুসুম শিকদার: প্রায় পাঁচ বছর অভিনয়ের বাইরে থাকায় একটা স্নায়ুবিক দুর্বলতা তো কাজ করছেই। একটা চাপ নিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। সিনেমার পরিচালক ও অভিনেত্রী হওয়ায় ক্যামেরার সামনে ও পেছনে দু’দিক থেকেই চাপ সামলাতে হয়েছে আমাকে। আবার প্রযোজক হওয়ায় পুরো টিম সামলাতে হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে।আপনার নির্মিত সিনেমাটি সম্পর্কে যদি কিছু বলেন-কুসুম শিকদার: আমার দাদা বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে। সেখানেই ছবিটির শুটিং হয়েছে। পুরো শুটিংয়েই আমার সঙ্গে ছিলেন বাবা। শুটিং টিমের সবার দেখভাল করেছেন। তাছাড়া গ্রামে বাবার স্কুল আছে। সেখানকার অনেক শিক্ষকের সহযোগিতায় শুটিং করতে পেরেছি। তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার সঙ্গে চলচ্চিত্রটির সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সুমন ধর। এখন পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এতে আমার বিপরীতে রয়েছেন ইয়াশ রোহান। আরও অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, শহিদুল আলম সাচ্চু, নরেশ ভূঁইয়া, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, অশোক ব্যাপারীসহ অনেকে। ছবিতে একটি গান আছে। আলেয়া বেগমের গাওয়া গানটির কথা ও সুর করেছেন ইমন চৌধুরী এবং সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন সন্ধি।নাটকে কি আর ফিরবেন না?কুসুম শিকদার: ২০১৮ সালে সর্বশেষ হানিফ সংকেতের পরিচালনায় কোরবানির ঈদের একটি একক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। এরপর ব্যক্তিগত কারণেই আর টিভি নাটকে অভিনয় করিনি। যদিও অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। এখনো প্রস্তাব পাচ্ছি। যদি মানসম্মত নাটক হয়, কেন নয়।