অর্থনীতিডেস্ক:ফাইল ফটো : কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কমে গেছে। এতে কয়েক মাস ধরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয়ে ধস নেমেছে। তাতে বিপাকে পড়েছেন বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আমদানি-রফতানিকারকেরা।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডলার সংকটে স্থানীয় দুটি ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (এফডিডি) ইস্যু করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। এ ছাড়া মিয়ানমারে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখান থেকে পণ্যভর্তি কার্গো ট্রলার ও জাহাজ আসতে পারছে না।তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই–এপ্রিলে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬১৬ কোটি টাকা।টেকনাফ স্থলবন্দরে কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী এফডিডি না পাওয়ায় মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছেন নাআমদানিকারকেরা। আবার মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে পণ্যবোঝাই কার্গো ট্রলার ও জাহাজও আসতে পারছে না। এ জন্য রাজস্ব আদায়ের ওপর প্রভাব পড়েছে।কাস্টমস সূত্র জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৭৫৬ কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। তার বিপরীতে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। অথচ আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ৪৬১ কোটি টাকার পণ্য। যার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬১৬ কোটি টাকা।সেই হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে পণ্য আমদানি কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। এর সঙ্গে প্রায় অর্ধেক কমেছে রাজস্ব আদায়ও।এদিকে আমদানির পাশাপাশি কমেছে রফতানির পরিমাণও। চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রফতানি হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় পাঁচ কোটি টাকার।জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে হিমায়িত মাছ, সুপারি, আদা, বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ, শুঁটকি, নারকেল, আচার ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়। আর রফতানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আলু, প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, বিস্কুট, চানাচুর, চিপস ও কোমল পানীয়।