বৃষ্টি কম হওয়ায় আর ভারত থেকে ঢলের পানি না আসায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। সুরমা, যাদুকাটাসহ জেলার নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ায় ভাটি এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও ভাঙ্গাচুরা সড়কে দুর্ভোগের পাশাপাশি হাওর এবং নিন্মাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষজনের মধ্যে উৎবেগ আর উৎকন্ঠা এখনও বিরাজ করছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিন্মঞ্চলের বসত বাড়ি থেকে পানি নেমেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢলের পানিতে উপজেলার নিন্মঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক, বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক এখনও পানিতে ডুবে আছে। সড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ সচল হয়েছে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ সচল হওয়ার স্বস্তি ফিরেছে তবে ভোগান্তি কমেনি।
তাহিরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আখঞ্জি ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ জামান জানান উপজেলার নিন্মঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে আছে মানুষ। আর যে সকল সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নতুন করে আবারও ভাঙা চুরা সড়কের উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে শিশু,নারী ও পুরুষদেরকে। ননদী খননসহ সুনিদিষ্ট পরিকল্পানার মাধ্যমে এই বন্যার দুর্যোগ থেকে মুক্তির পথ বের করতে হবে।
তাহিরপুর বাজারের অপূর্ব ষ্টোরের মালিক সাদেক আলী জানান, আমরা কোথায় যাব এভাবেই বর্ষায় প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলের পানিতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এর থেকে মুক্তির পথ খোঁজতে হবে দায়িত্বশীলদের আমরা ত্রান চাই না বন্যা মোকাবিলা স্থায়ী সমাধান চাই।
উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুনাব আলী জানান, উপজেলার সীমান্ত নদী দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পাহাড়ি ঢলের পানি ভাটির দিকে নামায় সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভপুর তাহিরপুর সড়ক পানি ডুবে গিয়েছিল। গত দুদিন ধরে পানি কমায় এই সড়ক পথ সচল হয়েছে। তবে ভাঙাচুরা সড়কে দূর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সালমা পারভিন জানান, পানি কিছু কমেছে। বন্যার্থ মানুষের মধ্যে ত্রান বিতরণ করার পাশাপাশি নজরধারী রাখা হচ্ছে।