প্রিয়সিলেটনিউজডেস্ক:-৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলায় নির্বাচন বুধবার (০৮ মে) সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে সদর, দক্ষিণ সুরমা ও গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৩ জন এবং বিশ্বনাথে বিএনপির নেতা বিজয়ী হয়েছেন। আর ভোটে লড়তে গিয়ে জামানত হারিয়েছেন চার উপজেলার ১১ প্রার্থী। এরমধ্যে সিলেট সদরে ৩ জন, দক্ষিণ সুরমায় ২ জন এবং বিশ্বনাথে ৬ জন জামানত হায়েছেন।সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর ৩ জনে জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিল্লাত আহমদ চৌধুরী ৪ হাজার ৮৬৪ ভোট, মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত কলম) ৫ হাজার ৪০১ ভোট, শ্রমিক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলার সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) ৬ হাজার ৭৯৬ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৯২১ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ৬৯ হাজার ৬৯৯ ভোট। জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ৮ হাজার ৭১২ ভোট। এ উপজেলায় সর্বোচ্চ ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন-মো. মইনুল ইসলাম (আনারস) ৫ হাজার ৯৩ ভোট এবং সিলেটী আঞ্চলিক নাটকের অভিনেতা সাহেদ মোশাররফ ৪ হাজার ২৯৯ ভোট। জামানত রক্ষায় তাদের প্রয়োজন ছিল ৭ হাজার ৪৪৫ ভোট। এ উপজেলায় এক লাখ ৯১ হাজার ৫৯০ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ৯ হাজার ৫৬৫টি। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বদরুল ইসলাম টেলিফোন মার্কা নিয়ে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি ১০ প্রার্থীর ছয় জনই জামানত হারিয়েছেন। তারা হলেন- আকদ্দুছ আলী (হেলিকপ্টার) ৪০৩ ভোট, গৌছ খান (কৈ মাছ) ৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ৯৪১ ভোট, মো. আব্দুল রোশন চেরাগ আলী (ঘোড়া) এক হাজার ৬৪৪ ভোট, শামসাদুর রহমান রাহিন (শালিক) ২ হাজার ১৫০ ভোট, সফিক উদ্দিন (উট) ৫১৮ ভোট। এ উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ৬০ হাজার ৪১৯টি। সে হিসেবে প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রয়োজন ছিল ৭ হাজার ৮০২ ভোট। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেতা মো. সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ পিরিছ) ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন (আনারস) পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট।এছাড়া গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ প্রার্থীর কেউ-ই প্রার্থী জামানত হারাননি। এ উপজেলায় দোয়াত-কলম মার্কা নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুর কাদির শাফি। তিনি ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু সুফিয়ান (আনারস) ২৯ হাজার ১৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী শহিদুর রাহমান চৌধুরী (ঘোড়া) ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়েছেন।সিলেট বিভাগের চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৪ হাজার ৫২ এবং ভোটকেন্দ্র ৩০২টি। এর মধ্যে ৩০২টি কেন্দ্রের ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম)মাধ্যমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে গণনার পর বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. জিল্লুর রহমান।