প্রিয় সিলেট ডেস্ক :::: চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় চাষাবাদের সুবিধার জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ প্রকল্পের অধীনে পানির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, এছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য উপযোগী মিঠা পানির সরবরাহও বাড়বে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রামের পাহাড়তলি এলাকায় বিএডিসি বীজ ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আগে তিনি আনোয়ারা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএডিসির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
অন্ষ্ঠুানে বিএডিসি চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় চাষাবাদে পানিতে লবণাক্ততার প্রভাব বেড়েছে। যার কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় চাষাবাদের জমিতে ব্যবহৃত পানিতে লবণাক্ততা আছে। সে কারণে আমরা সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এই সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে খাল খননসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হলে এক বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের পানিতে লবণাক্ততা কমে মিঠা পানিতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কোনো কৃষি জমি যেন চাষাবাদের বাইরে না থাকে সেজন্য সকল কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রণোদনা দিয়ে তাদের সহায়তা করতে হবে। তাছাড়া সিলেটের হাওড় ও খুলনা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায়ও আমরা সেচ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কোনো চাষাবাদের জমি যাতে খালি না থাকে সে জন্য বিএডিসি কাজ করছে।
বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (নিওক) আবুল কালাম আজাদ, সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম, বীজ বিপণনের যুগ্ম পরিচালক মাহমুদুল আলম, বিএডিসির উপপরিচালক (কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স) আবু সাইদ মোহাম্মদ হাসান লতিফ, সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামসহ বিএডিসি চট্টগ্রামের কর্মকর্তা ও বিএডিসির চুক্তিভুক্ত কৃষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।