বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা শাখার এক জরুরী সভা গত ২ মে বৃহস্পতিবার রাতে নগরির বঙ্গবীর রোডের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির শাখা সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস ছত্তারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বদরুল ইসলাম, হাজী আব্দুল কাদির ও শরীফ আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাদিকুর রহমান ছাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মালিক লস্কর, প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির, নির্বাহী সদস্য এমদাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, রুহেল আহমদ, টিপু আহমদ প্রমুখ। সভায় গত ১ মে বুধবার ‘মহান মে দিবস’ পালনকে উপলক্ষ্য করে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে কতিপয় উñৃংখল সন্ত্রাসী কর্তৃক নগরির বিভিন্নস্থানে অন্যায়ভাবে কিছুসংখ্যক হোটেল-রেস্তোরা ভাংচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে থেকে ২ জনকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। একই সাথে অন্য আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতে বলিষ্ট ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সভায় সৃষ্ট ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ৫ মে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় নগরির ধোপাদিঘীর উত্তরপাড়ে বৃহৎ পরিসরে প্রতিবাদ সমাবেশ আহবান করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, সিলেট জেলা ও দক্ষিণ সুরমা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সভার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর নামে কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ বিবৃতির বিষয়ে রেস্তোরা মালিক সমিতির দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, হোটেল শ্রমিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রেস্তোরা মালিক সমিতি কোন অপপ্রচার চালাচ্ছে না। রেস্তোরা মালিক সমিতি বরং কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে আইনের আশ্রয় নিয়েছে। ঢালাওভাবে কোন হোটেল শ্রমিককে মামলায় দোষারোপ করা হয়নি। ভিডিও ফুটেজ এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী ও ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরা মালিকের বর্ণনা অনুযায়ী যে সমস্ত দুর্বৃত্ত ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দেয়া হয়েছে। তাই শ্রমিক ইউনিয়নের এ বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে না। শ্রমিক ইউনিয়নের বিবৃতিতে মালিক সমিতির মধ্যে হোটেল-রেস্তোরা খোলা রাখা নিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে, প্রস্তাবে তারও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রস্তাবে জোর দিয়ে বলা হয়, রেস্তোরা মালিক সমিতির মধ্যে কোন প্রকারের দ্বন্ধ বা রেষারেষি নেই। সিলেট একটি পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা। এর পাশাপাশি দক্ষিণ সুরমায় বৃহৎ পরিসরে একটি অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল এবং একটি বড় রেল স্টেশন রয়েছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটগামী পর্যটকরা প্রাথমিক অবস্থাতে দক্ষিণ সুরমায় এসে অবতরণ করে থাকেন। ব্যবসার পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরা সেবামুলক প্রতিষ্ঠানও বটে। আগত পর্যটকদের সেবার অভিপ্রায়ে নগরিতে মাত্র কয়েকটি রেস্তোরা খোলা রাখা হয়েছিল এবং এসব রেস্তোরায় কোন শ্রমিককে জোরপূর্বক কাজ করানো হয়নি। বরং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে হোটেল-রেস্তোরাগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপরও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। যা কোন অবস্থাতেই বরদাশত করা যায় না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি