[english_date]
[bangla_date]
[hijri_date]

দেশ ও উন্নয়নকে আরো কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রিয় সিলেট
প্রকাশিত 27 February, Tuesday, 2024 17:16:38
দেশ ও উন্নয়নকে আরো কাছ থেকে দেখবেন বিদেশি কূটনীতিকরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

অনলাইনডেস্ক:  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা যাতে বাংলাদেশ ও এর অগ্রগতি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারেন, কাছ থেকে দেখতে পারেন, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রাম’ আয়োজন করেছে। এ প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি কূটনীতিকদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে।মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন আন্তুর্জাতিক সংস্থার ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমি এবং কর্ণফুলী টানেলপরিদর্শন শেষে ট্রেনযোগে কক্সবাজার যাত্রার সময় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই দিনব্যাপী ‘অ্যাম্বাসেডরস আউটরিচ প্রোগ্রামে’র আওতায় এ কার্যক্রম চালানো হয়।

সাংবাদিকদের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাজধানীর বাইরে পরিদর্শনের মাধ্যমে কূটনীতিকরা বাঙালি জাতির সামর্থ্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে সেই খবরগুলো তাদের দেশে পৌঁছাবেন, ফলে তা বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন আমাদের দেশকে আরো জানেন, দেশে যে বিরাট উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ হচ্ছে, সেগুলো যেন তারা স্বচক্ষে দেখেন, সেই কারণেই তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনযোগে তারা কক্সবাজার যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোথাও নদীর তলদেশ দিয়ে রোড টানেল নেই। সেটি তারা দেখলেন। এই যে অসাধারণ উন্নয়ন, যেগুলো আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মানুষ কল্পনাও করেনি, সেগুলো আজকে বাস্তব এবং সেই বাস্তবতা কূটনীতিকরা নিজ চোখে দেখেছেন।
কূটনীতিকদের ট্রেনে করে কক্সবাজার নেয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন লাইন হয়েছিল। তারও আগে ব্রিটিশ আমলে ১৯০০ সালের পরপরই চট্টগ্রাম থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ট্রেন লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কারণ, তাকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিল।
এ আউটরিচ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, ইতালি, ডেনমার্ক, কসভো, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম, ভ্যাটিকান, ভুটান, স্পেন, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ফ্রান্স এবং এফএও, আইইউটি, একেডিএন আন্তুর্জাতিক সংস্থাগুলোর ২৪ জন মিশন প্রধানসহ ৩৪ জন কূটনৈতিক সদস্য।

ফাইল ফটো