১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

পাগল হাসানের নামাজে জানাযায় হাজার হাজার ভক্ত

priyosylhet24.com
প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ ২৩:২৮:২৩
পাগল হাসানের নামাজে জানাযায় হাজার হাজার ভক্ত

অনলাইন নিউজ:- সুনামগঞ্জের ছাতকে হাজার হাজার ভক্তের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গীতিকার, সুরকার ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মো. মতিউর রহমান হাসান (পাগল হাসান)।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নিজ গ্রাম শিমুলতলা এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে সুরমা নদীর তীরে তার নামাজে যানাজা শেষে পঞ্চাইতি কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়। পাগল হাসানের নামাজে জানাযায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এহসান শাহ, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ছাতক পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান আব্দুলওয়াহিদ মজনুসহ বর্তমান ও সাবেক অসংখ্য জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিরগাঁও অষ্টগ্রাম এলাকাবাসী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মরহুমের স্বজন-শুভাকাক্সক্ষী, বাউল ও শিল্পীবৃন্দসহ হাজার-হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা থেকে বিমানযোগে অনেক শুভাকাক্সক্ষী এসে তার যানাজায় অংশগ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে গোটা এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে।সংস্কৃতিককর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না-তদন্ত ছাড়াই পাগল হাসানের দাফন সম্পন্ন করা হয়। সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সবসময় গানের অনুষ্ঠান করতো বাউল শিল্পী পাগল হাসান। সেখানে তার মরদেহ পৌঁছায় একটি পিকাআপ ভ্যানে করে। তাঁর মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে পৌঁছামাত্রই তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সুধীজনরা জড়ো হতে থাকে। পুরো শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী শিল্পী, সুহৃদ ও ভক্ত অনুরাগীদের কান্না ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ। শিল্পীর মরদেহ শেষবারের মতো একনজর দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন সংস্কৃতিকর্মীরা। মরদেহ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় বাউল কণ্ঠশিল্পী ‘জীবন খাতা’, ‘আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু’, ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা’, ‘রেলগাড়ির ইঞ্জিন’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। তার রচিতা গানগুলো দেশের তরুণ শিল্পীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করতে দেখা গেছে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ছাতক শহরের সুরমা সেতু এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সকলের পরিচিত মুখ মো. মতিউর রহমান হাসানসহ (পাগল হাসান) দুইজন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত মো. দিলশাদ মিয়ার ছেলে।