অনলাইন ডেস্কঃ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ও টাকাসহ ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।আসামিদের সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রতন আলী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন মো: অনিক রহমান (২৪), মো: রতন আলী (২৩) ও মো: জীবন আলী (২৫)। অনিক রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার তালাইমারী এলাকার মো: সুমন হাসানের ছেলে, রতন আলী একই থানার বাজে কাজলার মৃত শামীমের ছেলে ও জীবন বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকার মো: বুলবুলের ছেলে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার বেড়া থানার বৃ-শালিখা গ্রামের ফাহমিদা সাত্তার (৩৯) মতিহার থানার কাজলা এলাকার বাসিন্দ। সে গত ২০ এপ্রিল রাত পৌনে ৮ টায় কাজলা গেটের দিকে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় পিছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন ছিনতাইকারী তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার টাকাসহ একটি ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে কাজলা গেটের দিকে চলে যায়। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি ছিনতাই মামলা রুজু হয়।আরএমপি মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন।পরবর্তীতে মতিহার থানার পুলিশের ঐ টিম আরএমপি’র সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করেন। এরপর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজের দিকনির্দেশনায় এসআই হেদায়েত উল্লাহ ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ এপ্রিল দিবাগত রাত আড়াই টায় আসামি অনিককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামি অনিকের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি রতন আলীকে রাত সোয়া ৩ টায় ও জীবনকে রাত পৌনে ৪ টায় তাদের বাড়িতে থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামি জীবন আলীর কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়।অন্যান্য আলামত উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সোমবার ২২ এপ্রিল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রতন আলী ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।